বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি::
রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে টাকা দিয়ে গাজীপুর-চট্রগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক ও উপশহরের ৩০০ ফুট এলাকার নীলা মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ৩৫টি টোং দোকানে চলে চোরাই তেলের বাণিজ্য। অভিযোগ উঠেছে এ সকল ব্যবসা চলে নাকি রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে।
রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল থেকে এশিয়ান হাইওয়ে জিন্দাপার্ক ও কাঞ্চন সেতু থেকে ৩০০ ফুট এলাকার নীলা মার্কেট পর্যন্ত ফুটপাতে জমে উঠা প্রায় ৩৫টি দোকানে চলে চোরাই তেলের কেনাবেচা। অনুসন্ধানে গেলে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা রহস্যমত তথ্য। এ যেন কেঁচো খুঁজতে সাপ বেরিয়ে আসে, এসকল হাইওয়ের পাশে টোং দোকানে চোরাই তেল ব্যবসার অন্তরালে চালিয়ে যাচ্ছে ইটভাটার চোরাই ইট, ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, সোয়াবিন তেল ও মরণ নেশা ইয়াবার ব্যবসা।
অনুসন্ধানে যাদের দেখা মিলে তারা হলেন- এশিয়ান হাইওয়ে মুন্সী পাম্পের পাশে মতুজাবাদ এলাকার আক্তারুজ্জামানের ছেলে জুয়েল, নলপাথর এলাকার সামছুল ইসলাম, কাঞ্চন ব্রীজের সামনে ব্রাক্ষনখালী এলাকার সিরাজের ছেলে গোলাপ, সুইরাব এলাকার রাকিব, একই এলাকার সোলমান, আনোয়ার, মাসতুল এলাকার লিটন, কুদুর মার্কেট এলাকার ইয়াছিন, সাব্বির হোসেন, ইসমাইল, লেংটার মাজার এলাকায় কাশেম, সোহেল ছাড়াও বাকি পনেরটা দোকান বন্ধ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী জানান, চোরাই তেল ব্যবসায়ীরা অনেকেই দিনের বেলা দোকান বন্ধ রাখে। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে খোলা রাখে গভীর রাত পর্যন্ত। এদের ব্যবসাই চলে রাতে। খবর নিয়ে জানা যায় কাঞ্চন ব্রীজের পশ্চিম পাড় থেকে নীলা মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ২০টি, জিন্দাপার্ক পর্যন্ত ১০টি ও গোলাকান্দাইল থেকে কাঞ্চন ব্রীজ পর্যন্ত ৫টি টং দোকান রয়েছে। তবে এর মধ্যে ২০টি দোকানের পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে কুদুর মার্কেটের তেল ব্যবসায়ী ইয়াছিন। বাকিরা নিজেরাই পুলিশকে ম্যানেজ করে বলে জানা যায়।
তেল ব্যবসায়ী সোলমান জানান ইয়াছিন চোরাই তেলের ডিলার। সে আমাদের কাছ থেকে তেল কিনে থাকে। মাসতুল এলাকার চোরাই তেল ব্যবসায়ী লিটন মিয়া জানান ডিলার ইয়াছিন থানা পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে। সে মাস শেষে প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫হাজার টাকা করে নিয়ে থানাকে বুঝিয়ে দেয়। এজন্যই আমাদের পুলিশি কোন সমস্যা করেনা।
নাম না বলার শর্তে জনৈক ব্যক্তি বলেন, এখানে টোং দোকানের মধ্যে ক্রয় করে থাকে চোরাই ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, সোয়াবিন তেল, ইট ভাটার চোরাই ইট। তবে শুনেছি এসকল ব্যবসার অন্তরালে ইয়াবা বিক্রি করে থাকে। কুদুর মার্কেট এলাকায় গিয়ে ইয়াছিনকে খুজে পাওয়া যায়নি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হক বলেন, আমি নতুন এসেছি। থানার কথা বলে যদি কেউ অপকর্ম করে তা হলে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে আমার কোন আপোষ নেই।